বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলার ৩১ আসামি চট্টগ্রাম কারাগারে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারফাইল ছবি

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৬ নারীসহ ৩১ জনকে জেলা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে পাঠানো হয়।

বান্দরবান জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বান্দরবান জেলা কারাগারে কয়েদি ও হাজতির ধারণক্ষমতা ১১৪ জন, এর বিপরীতে রয়েছেন ৩৫০ জন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী থাকায় ৩১ জনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় বান্দরবান জেলা কারাগারে থাকা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত দুই নারীকে চিকিৎসার সুবিধার্থে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও অস্ত্র লুটের ঘটনার ২১টি মামলায় এ পর্যন্ত ৯৬ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ২ এপ্রিল এবং থানচি উপজেলায় ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে লুট করা হয় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা এই ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

দুজনের সাজা মওকুফ: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আজ বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া দুজন হলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. হাসেম এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চর খাগরিয়ার ইসমাইলের ছেলে আবদুল মান্নান। তাঁদের  দুজনকে গত বছরের অক্টোবরে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এরই মধ্যে অর্ধেক সাজা ভোগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফের আদেশ দেওয়ায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।