হাতিয়া উপকূলে মেঘনায় ৩৯ যাত্রীসহ ট্রলারডুবি, একজনের মৃত্যু, আটজন নিখোঁজ
হাতিয়া উপকূলে মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আর আটজন এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামের একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আজ শনিবার বেলা আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলে মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে যাওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায় বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন। ট্রলারে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আর আটজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামের একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আজ শনিবার বেলা আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ট্রলারের মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে হাতিয়ার ভাসানচর থেকে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৪ জন আনসার সদস্য, ৬ জন রোহিঙ্গা রোগী এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার চারজন কর্মীসহ সর্বমোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে জাহাঙ্গীর মাঝি হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন।
হাতিয়ার মোরশেদ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডুবে চরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে যাওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩১ জনকে জীবিত অবস্থায় অন্য একটি ট্রলারে তোলার পর তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। আর বাকি আটজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর ও সাইফুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
ট্রলারের মালিক জামাল উদ্দিন গাজী প্রথম আলোকে বলেন, ট্রলারটি দিয়ে তাঁরা মূলত ভাসানচরে পণ্য পরিবহন করেন। মাঝেমধ্যে সেখান থেকে পণ্যবাহী ট্রলারে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ আসতে চাইলে তাঁদের আনা হয়। আজ দুপুরে ট্রলারটি ভাসানচর থেকে করিমবাজার ঘাটে আসার পথে ঘাটের অল্প দূরে ঝড়ের কবলে উল্টে যায়। তিনি ঘটনাটি জানার পরপরই অন্য দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।
জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য, চারজন রোহিঙ্গাসহ সাতজনকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
জামাল উদ্দিন গাজী আরও জানান, ঘটনার পরপরই নদীতে কাছাকাছি এলাকায় থাকা একাধিক মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা গিয়ে অনেককেই উদ্ধার করেছেন বলে শুনেছেন। তিনি এখনো ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীরের খোঁজ পাননি।
হাতিয়ার মোরশেদ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন জানান, জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য, চারজন রোহিঙ্গাসহ সাতজনকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।