নদীতে ফেলে দেওয়া নবজাতককে ৫ দিন পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার

নবজাতকপ্রতীকী ছবি

বরিশালের দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়া নবজাতককে মৃত অবস্থায় আজ সোমবার ঝালকাঠির নলছিটি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার দুপুরে ওই নবজাতককে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্কুলশিক্ষক মা ঐশী আক্তারের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার পর থেকে ঐশী পলাতক। ঐশী নলছিটির হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি নলছিটির মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের মেয়ে।

১০ জানুয়ারি অস্ত্রোপচার ছাড়াই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ঐশী। এরপর তাঁকে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় তাঁর বোনের বাসায় নিয়ে রাখা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া মরদেহ ওই স্কুলশিক্ষকের সন্তান কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে নিখোঁজ নবজাতকের বাবা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ উদ্ধার হওয়া লাশের পোশাক দেখে তাঁর নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি পোশাক দেখে নিশ্চিত হয়েছি উদ্ধার হওয়া নবজাতকের লাশটি আমার মেয়ের। আমি এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানা–পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই মরদেহ উদ্ধার করে। নবজাতকের বয়স পাঁচ থেকে সাত দিন হবে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।