চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা তদন্ত করবে ডিবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে
ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনকে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

গত বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে বাসটির যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তখন মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর মামলাটি করার পর থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে। পরে বৃহস্পতিবার রাজা মিয়া নামের ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। রাজা ডাকাতির সময় চালককে সরিয়ে বাসটি চালাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের বাসটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশী ১০-১২ জন ডাকাত বাসে ওঠে।

বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাঁদের কাছে থাকা টাকা, মুঠোফোন ও অলংকার লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।