সিঙ্গাইরে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ডিবি সদস্যরা, গ্রেপ্তার ২

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির এক উপপরিদর্শকসহ ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব ভাকুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিঙ্গাইরের পূর্ব ভাকুম গ্রামের লেছু ফকিরের ছেলে মো. শাহীনুর ইসলাম (৩৪) ও শাহীনুরের ভাগনে সুজাত হোসেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহীনুর পূর্ব ভাকুম গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই আসাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে শাহিনুরের বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানের সময় শাহীনুরের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে ডিবি। একপর্যায়ে শাহীনুরকে আটক করতে গেলে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে শাহীনুর চিৎকার শুরু করেন। এ সময় শাহীনুরের ছোট ভাই আহাদুল নূর, ভাগনে সুজাত হোসেন, মা আসমা বেগম, স্ত্রী লিপি আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজন শাহীনুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ডিবি সদস্যরা তাঁদের বাধা দিতে গেলে সুজাত হোসেন লোহার রড দিয়ে ডিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এতে ডিবির এসআই আসাদ মিয়া, কনস্টেবল সাদেক আলী, ইব্রাহিম মিনা, শরীফুল ইসলাম, রাসেল মিয়া ও তানভীর ভূঁইয়া আহত হন। একপর্যায়ে ডিবি শাহীনুর ও সুজাতকে আটক করলেও অন্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে আহত ডিবির সদস্যরা জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

জেলা ডিবির পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে সিঙ্গাইর থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাহীনুরের বিরুদ্ধে এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সুজাত, তাঁর মা আসমা বেগম, শাহীনুরের স্ত্রী লিপি আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও অন্য আসামিরা পলাতক। গ্রেপ্তার আসামিদের আজ দুপুরে থানায় হস্তান্তর করা হবে।