দুদকের মামলায় গাইবান্ধা ডাকঘরের কর্মচারীর ৯ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরের কর্মচারী হাবিবুর রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৯১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরে পোস্টাল অপারেটর ছিলেন। চাকরিকালে তিনি ভুয়া সঞ্চয়পত্রের হিসাব খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থে তিনতলা বাড়ি ও ৪৫ বিঘা জমি কেনেন এবং সন্তানদের নামে ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডি) খোলেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া, আমিরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত শেষে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রংপুরের বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে হাবিবুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে তাঁকে ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৯১ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সেই সঙ্গে জরিমানার এ অর্থ ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন। অন্যথায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম হারুন উর রশীদ জানান, হাবিবুর রহমান মাত্র দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করেন এবং চাকরিকালে তিনি ভুয়া সঞ্চয়পত্র খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর নামে ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে কুড়িগ্রাম প্রধান ডাকঘরে ভুয়া সঞ্চয়পত্র খোলার মাধ্যমে ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় রংপুরের একই আদালতে তাঁর ৯ বছরের সাজা হয়েছে।