যশোরে আদালত চত্বর থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি

যশোর আদালত থেকে পলাতক হত্যা মামলার আসামি জুয়েল খান
ছবি: সংগৃহীত

যশোরে আদালত চত্বর থেকে জুয়েল খান নামে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বর থেকে তিনি পালিয়ে যান।

পলাতক জুয়েল খানের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামে। ২০২১ সাল থেকে জুয়েল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মামলার ধার্য দিনে আসামি জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাঁদের হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল দুই আসামিকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আদালত ভবনের নিচতলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে জুয়েল খান কৌশলে হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, ওই ব্যক্তি হত্যা মামলার আসামি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর যশোরের বাঘারপাড়ায় আল–আমিন নামের এক ইজিবাইকচালককে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি জুয়েল খান।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একদল দুর্বৃত্ত যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আল-আমিনকে হত্যা করে। পরে টাকা ও তাঁর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করে। ইজিবাইকও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আল–আমিনের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্তের সময় র‌্যাব জুয়েল খান, আল-আমিন, হারুন অর রশিদ ও মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে নিহত আল-আমিনের ইজিবাইকের ব্যাটারি, চাকা উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া থানা–পুলিশ জুয়েল ও একই গ্রামের হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।