মরা মুরগি রান্নার প্রস্তুতিকালে হোটেল ব্যবসায়ী আটক, ভ্রাম্যমাণে আদালতের জরিমানা

মরা মুরগি রান্নার প্রস্তুতির কথা জেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা বাজারেছবি: প্রথম আলো

নাটোরে খামার থেকে ১০ কেজি মরা মুরগি এনে রান্নার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ফজল আলী নামের এক হোটেলমালিককে হাতেনাতে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই হোটেলমালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদুয়ানুল হালিম।

আজ রোববার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা সদরের বাজারে ফজল আলীর খাবার হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। অভিযানে জব্দ করা মরা মুরগির মাংস পরে ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা বাজারের খাবারের হোটেল ব্যবসায়ী ফজল আলী স্থানীয় একটি মুরগির খামার থেকে ১০ কেজি মরা মুরগি কিনে নিয়ে আসে। তিনি মরা মুরগি হোটেলের রান্নাঘরে নিয়ে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘটনাটি বাজারের কিছু লোক দেখে ফেলেন। তাৎক্ষণিক তাঁরা মরা মুরগিসহ ওই হোটেলের ব্যবসায়ীকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে খবর দেন।

খবর পেয়ে ইউএনও রেদুয়ানুল হালিম ওই হোটেলে গিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। তখন উপস্থিত লোকজনের সামনে তিনি মরা মুরগি কেনার বিষয়টি স্বীকার করেন। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়ীকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মরা মুরগি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

নলডাঙ্গা বাজারের একজন সবজি ক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, তিনি মাঝেমধ্যে ফজল আলীর হোটেলে খাবার খান। আজও খাবার খেতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মরা মুরগি আটকের কথা তিনি জানতে পারেন। পরে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। তাই তিনি আর ওই হোটেলে খাননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদুয়ানুল হালিম বলেন, হোটেলমালিক রান্নার উদ্দেশ্যে মরা মুরগি কেনার কথা স্বীকার করলে তাঁকে ভোক্তা অধিকার আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মরা মুরগি বাজেয়াপ্ত করে ধ্বংস করা হয়েছে।