সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক–সংকট দূরীকরণ ও ছাত্রাবাসে পানির সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর অধ্যক্ষের আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় প্রশাসনিক ভবনে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষসহ সাত–আটজন শিক্ষক। পরে অধ্যক্ষের আশ্বাসে রাত ৯টার দিকে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের ইতিহাস বিভাগে চারজন শিক্ষকের পদ থাকলেও ৩১ জুলাই থেকে পদগুলো শূন্য। শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন করেছেন তাঁরা। এরপরও কলেজের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষক না থাকায় ইতিহাস বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ছাত্রাবাসের পানির সমস্যা দূর করতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অধ্যক্ষকে তালাবদ্ধ করে রাখার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল রাত সাড়ে আটটার দিকে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে যান। আধা ঘণ্টা পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে অধ্যক্ষ তাঁদের দাবি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান। পরে রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ কার্যালয়ের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, ছাত্রাবাসে পানির সমস্যা আগামী রোববারের মধ্যে সমাধান করা হবে। শিক্ষক–সংকটের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, পানির সংকটের ব্যাপারে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি দ্রুত বিষয়টি সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমদ বলেন, অধ্যক্ষের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন।