২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শীতের আগমনে পাল্টেছে রাজশাহীর চিত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড। রোববার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

কার্তিকের মাঝামাঝিতে শুরু হয়েছে শীত। সকাল সকাল বেশ কুয়াশাও পড়ছে। বিকেল হলেই উত্তরের শীতল হাওয়ার টের পাওয়া যাচ্ছে। শীতের আগমনে চারপাশ পাল্টে গেছে রাজশাহীর। নগরের মোড়ে মোড়ে বসেছে মোটা কাপড়ের পসরা। বিকেল হলেই বসছে ভাপা পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। মানুষের পোশাকেও এসেছে পরিবর্তন।

রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয়ে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীতে তাপমাত্রা প্রায় প্রতিদিনই কমছে। সাধারণত রাজশাহী অঞ্চলে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে তাপমাত্রা কমে। তবে এবার অক্টোবরের মাঝামাঝিতে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কিন্তু মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সে তাপমাত্রা কমে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহীতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে শীত নেমে গেছে। কয়েক দিন ধরে সকালবেলা কুয়াশাও পড়ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি মাঠে কুয়াশার মধ্যে খেলছেন শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো

রোববার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে যায়, কুয়াশায় গাছপালা থেকে টপ টপ করে শিশির পড়ছে। ক্যাম্পাসে ঢুকতেই জুবেরি মাঠে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কুয়াশার মধ্যেই এক পাশে ফুটবল, এক পাশে ক্রিকেট খেলছেন। প্যারিস রোড ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুয়াশার মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করছেন। তাঁদের পরনে শীতের পোশাক।

রাজশাহী নগরের নানা জায়গায় বসেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে। নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টের একটি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতারা ভিড় করে ভাপা পিঠা খাচ্ছেন। গুড়, নারকেলমিশ্রিত একটি পিঠার দাম রাখা হচ্ছে ১০ টাকা।

নগরের রানীবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শীতের কম্বলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। দোকানগুলোতে ১০ থেকে ১৫ ধরনের কম্বল পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে প্রতিটি কম্বলের দাম সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কম্বলের দোকানের বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, এবার শীত সবে শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই এ এলাকায় কম্বল নিয়ে বসেন তিনি। এবার বসেছেন সপ্তাহখানেক আগে। এই এলাকায় কম্বল কিনতে এসেছেন আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত পড়াই শুরু হয়নি। কিন্তু দাম অনেক। জিনিসপত্রের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর দামও বেড়ে গেছে। নগরের শপিং মলগুলোতেও শীতের জামাকাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানে দাম একটু বেশি।