সাতক্ষীরায় দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেছে নারীর পিঠ

অপরাধপ্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাপুর গ্রামে দুর্বৃত্তের ছোড়া দাহ্য পদার্থে এক নারীর পিঠ ঝলসে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার গুরালীর বিলের মৎস্যঘেরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

ওই নারীর নাম সাকিলা আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার শাহাপুর গ্রামের আবুল কালাম খানের মেয়ে এবং সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার আলী মিরাদ আহমেদের স্ত্রী।

সাকিলা আক্তারের ভাষ্য, তিনি গতকাল সন্ধ্যার দিকে গুরালীর বিলে তাঁর মৎস্যঘের দেখতে গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ঘের থেকে ফিরে আসার সময় ঘেরসংলগ্ন বিলে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে পালিয়ে যান। তিনি গ্রামের ভেতরে এসে স্থানীয় লোকজনের বিষয়টি জানান। স্থানীয় লোকজন তখন তালা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে তাঁর মৎস্যঘের নিয়ে বিরোধ চলছিল।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বলেন, রাত ১০টার দিকে দগ্ধ সাকিলা আক্তারকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।

ওসি মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ঢাকায় বসবাসরত আবদুল্লাহ আল মামুনের মৎস্যঘের তাঁর ভাগনে তালা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের আলী মিরাদ আহমেদ ও ভাগনে বউ সাকিলা আক্তার দেখাশোনা করেন। ঘেরের হিসাব ঠিকমতো না দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গতকাল স্থানীয় শাহাপুর বাজারে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে আলী মিরাদ আহমেদ উপস্থিত না থাকায় ঘের নিয়ে বিরোধের বিষয়টি মীমাংসা হয়নি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মীর মাহফুজ বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে সাকিলা আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পিঠের যে অংশ ঝলসে গেছে, তা অ্যাসিডে নাকি অন্য কোনো দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেছে, তা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।