তিন লাইট, এক ফ্যানের বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় তিনটি এলইডি লাইট ও একটি খাঁচাফ্যান চালিয়ে এক ব্যক্তির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি। রোববার তিনি বিলের কপিটি হাতে পান।

অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের ওই গ্রাহকের নাম সুরুজ সরকার। তিনি পৌর শহরের নির্মাণাধীন মডেল মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ফারুক মাস্টার মার্কেটে ছোট মুদিদোকান চালান। ওই দোকানে ব্যবহৃত মিটারটি আগের ভাড়াটে ইকবাল আহমেদের নামে ইস্যু করা। তিন বছর ধরে সুরুজ সরকার এই মিটার ব্যবহার করছেন।

বিদ্যুৎ বিলের কপিটি প্রথম আলোর কাছে এসেছে। মিটারটি ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর শ্রীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত। বিলের কপিতে দেখা যায়, সর্বশেষ ৫ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মোট ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতি ইউনিট ১১ টাকা ৯৩ পয়সা হিসাবে বিল হওয়ার কথা ২৩৯ টাকা। অন্যান্য চার্জসহ বিলের কপির একটি অংশে বিল লেখা আছে ৩১৪ টাকা। কপির অন্য এক অংশে মোট বিল লেখা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১২৯ টাকা। অন্য অংশে বিলম্ব মাশুলসহ মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯ টাকা উল্লেখ আছে।

সুরুজ সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি দোকানে ২০ ওয়াটের তিনটি এলইডি লাইট ও সর্বোচ্চ ৭০ ওয়াটের একটি খাঁচাফ্যান চালান। এগুলোর বিল গত এপ্রিল মাসে এসেছিল ২২৪ টাকা, মে মাসে ৫৫৩ টাকা ও জুন মাসে ৪৮৭ টাকা। চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এত বেশি টাকা বিল দেখে বিস্মিত সুরুজ।

প্রথম আলোকে ওই দোকানি জানান, দোকানে ওঠার সময় ওই মিটারের হিসাব নম্বরের বিপরীতে কোনো বকেয়া নাই মর্মে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একটি প্রত্যয়ন মিটারমালিক তাঁকে দিয়েছেন। গত তিন বছরেও কোনো বকেয়া নেই। সুরুজ সরকার বলেন, ‘আমি ছোট্ট একটা দোকান চালাই। এই বিপদ আমি কীভাবে সামলাব।’

এ বিষয়ে মিটারটির প্রকৃত মালিক ইকবাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি ঢাকায় থাকেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর শ্রীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক রফিক আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতিরিক্ত বিল ওই মিটারের হিসাব নম্বরের না। এটি গ্রাহকের নিজের অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মিটারের বকেয়া বিল হতে পারে। বিলের কাগজ নিয়ে ওই গ্রাহক অফিসে এলে এটি দেখব।’