ঘরে পানি পান করতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার ব্রা‏‏হ্মণপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবুল মিয়া (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় ট্রাকচালক (মাটি কাটার)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে স্থানীয় একটি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে আজ শুক্রবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার আবুল মিয়া কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা। তাঁকে আজ সকালে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আবুল মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই স্কুলে যাওয়া–আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর স্বজনদের বরাতে জানা যায়, আবুল মিয়া মেয়েটির পাশের বাড়িতে ট্রাক দিয়ে মাটি এনে ভরাট করছিলেন। ওই স্কুলছাত্রীর মা স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। গতকাল দুপুরে মেয়েটির মা স্কুলে চলে গেলে সে বাড়িতে একা ছিল। এ সময় আবুল মিয়া ট্রাক রেখে পানি খাওয়ার অজুহাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে যান। তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তখন ট্রাক রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান আবুল মিয়া

এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আবুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন। এ মামলায় গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘আবুল আমাদের পাশের বাড়িতে অনেক দিন ধরেই ট্রাকে মাটি আনছে। প্রায়ই সে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। ইজ্জত–সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি কাউকে জানাইনি। গতকাল আমি স্কুলে চলে যাওয়ায় বাড়িতে একা পেয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে সে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রা‏‏হ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।