সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে দাদি ও ফুফুকে হত্যা করেন সাইফুল: পুলিশ

খাগড়াছড়ির রামগরে আলোচিত মা মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেছবি: পুলিশের সৌজন্যে

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সাইফুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশ জানায়, জমি ও টাকার জন্য সাইফুল তাঁর দাদি ও ফুফুকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

গত বৃহস্পতিবার সকালে রামগড় পৌরসভার পূর্ব বাগানটিলা এলাকার বাড়ি থেকে আমেনা বেগম নামের এক বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে রাহেনা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। আমেনা বেগম ওই এলাকার মৃত মীর হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের ধারণা ছিল, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে পরিবারের কোনো সদস্যের হাতেই খুন হয়েছেন মা-মেয়ে।

এ ঘটনার পর নিহত রাহেনা বেগমের ছেলে মো. হাসান বাদী হয়ে ২২ আগস্ট রামগড় থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটা হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় গতকাল বুধবার পুলিশ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আমেনা বেগমের বড় ছেলে মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল বলেন, ঘটনার দিন সাইফুল তাঁর দাদির কাছে টাকা চান। এ নিয়ে দাদি ও ফুফুর সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এরপর দাদির ঘরে শুয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাইফুল। পরে সবাই ঘুমিয়ে গেলে দা দিয়ে প্রথমে ফুফুকে, পরে দাদিকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ফেনীর ছাগলনাইয়া থানায় ৪টি চুরি আর ছিনতাইয়ের মামলা আছে। দুজনকে হত্যার পর সাইফুল তাঁর ফুফুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। সেটি চট্টগ্রামের একটি বাজারে চার শ টাকায় বিক্রি করেন।