নবাবগঞ্জে হামলায় আওয়ামী লীগের তিনজন আহত

হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদ হাসান ও ইউনিয়ন কৃষক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-নবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাঠানকান্দা এলাকার ভাই-বোন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে হামলার এ সময় তিনজন আহত হয়েছেন।

আহত তিনজন হলেন কৈলাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন (৪০), একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ হাসান (৩৫) ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৩২)।

আরও পড়ুন

আহত ব্যক্তিরা জানান, বেলা ১১টার দিকে তাঁরা তিনজনসহ পাঁচজন তিনটি মোটরসাইকেলযোগে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা পাঠানকান্দা এলাকার ভাই-বোন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পাকা সড়কে পৌঁছাতেই স্থানীয় আসাম কাজী, মো. বাবু, মো. হৃদয়, মো. রবিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ব্যক্তি পথরোধ করেন।

আহত মুরাদ জানান, তাঁর শার্টের কলার ধরে আসাম কাজী মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও হাতুড়ি, রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ সময় মাসুদ হাসান ও দেলোয়ার এগিয়ে এলে তাঁদেরও হাতুড়ি ও রড দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলায় দেলোয়ারের বাঁ পাশের চোখে রক্তজমাট হয়েছে। ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন মাসুদকেও ছাড় দেওয়া হয়নি।

মুরাদ বলেন, ‘একপর্যায়ে হামলাকারীরা আমাদের সাথে থাকা নগদ টাকা লুট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। যুবলীগের নেতা মুরাদ আমার মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে বাবুসহ কয়েকজন দৌড়ে এসে মুরাদকে টেনেহেঁচড়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে উপর্যুপড়ি আঘাত করে। আমি তাদের বারবার অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। একপর্যায়ে তারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাসুদ ও দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যায়।’

নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, খোঁজখবর নিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাঁদের কোনো পদ–পদবি নেই। তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বাবু বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সঠিক নয়। বরং মুরাদের নেতৃত্বে তার লোকজন চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করতে আসে।’

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মারধর–সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।