লক্ষ্মীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কিশোর নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে অব্যাহতি

গ্রেপ্তার চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শাহজালালকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কিশোর নিহতের ঘটনায় মামলার আসামি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শাহজালাল ওরফে রাহুলকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মোল্লা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শাহজালালের দখল, চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন লোকজন। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। এ কারণে লোকজন ঘটনার দিন ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে তাঁর ফাঁসির দাবি জানান। পরে অবরোধ করে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশের কাছ থেকে। তাঁর জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর সদস্য পদ বাতিলের জন্য উপজেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাটের দখল ও নদী থেকে বালু তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাচিয়া গ্রামের মিয়ার হাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহজালালের লোকজনের সঙ্গে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী নজরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় রাসেল হোসেন নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৪) কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সে মারা যায়।

আরও পড়ুন

এ ঘটনার পর ওই দিন দুপুরে বি এম শাহজালাল ও তাঁর চার সহযোগী জাকারিয়া রাকিব, মিনাজুল হক, মো. সোহাগ ও মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন এ সময় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে তাঁর ফাঁসি দাবি করেন। ক্ষুব্ধ লোকজনের একাংশ শাহজালালকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করে। শাহজালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে।

এদিকে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চর কাচিয়া গ্রামের মিয়ার বাজারের বি এম শাহজালালের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দা, ছেনি, ছুরি, খেলনা অস্ত্রসহ দেশীয় বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন