ভৈরবের সেই আবর্জনার স্তূপ আড়াল করতে এবার দেওয়া হলো বেড়া

কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশন স্টেশন সড়কের পাশে থাকা আবর্জনার স্তূপ আড়াল করতে সড়কের পাশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তোলাছবি: প্রথম আলো

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের আসার খবরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশন স্টেশন সড়কের পাশে থাকা আবর্জনার স্তূপ। তবে উপদেষ্টা চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সেই কাপড় সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন নতুন করে আবর্জনা আড়াল করতে সড়কের পাশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে হাস্যরসের তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির এক পাশের পুকুরে কয়েক বছর ধরে আবর্জনা ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহান পথচারীরা। স্থানীয়রা আন্দোলন ও মানববন্ধন করেও সমাধান পাননি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয় আবর্জনা ঢাকার রঙিন কাপড়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৈরব পৌর শহরের প্রধান সড়কের একটি স্টেশন সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয় ভৈরব স্টেশনে। সড়কের এক পাশে রেলওয়ের বড় পুকুর। পুকুরের মধ্যভাগ দিয়ে একটি সড়ক আছে। সড়কের এক পাশের পুকুরে কয়েক বছর ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। সরকারি কাজে গত বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সরাইলে যেতে তিনি ঢাকা থেকে ট্রেনে প্রথমে ভৈরবে আসেন।

আরও পড়ুন
উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন সড়কের ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রঙিন কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে পৌর কর্তৃপক্ষ আবর্জনার স্তূপ রঙিন কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেলে। কয়েক ঘণ্টা পর সেই কাপড় সরিয়ে ফেলা হয়। তবে এবার আবর্জনার স্তূপ পথচারীদের চোখের আড়ালে রাখতে স্থায়ীভাবে বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পৌর প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত স্তূপের অর্ধেকের কিছুটা বেশি আড়াল করা গেছে।

ভৈরব পৌরসভার সচিব মো. ফারুক বলেন, ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ময়লা ফেলা হচ্ছে। আবর্জনা ফেলার প্রতিটি স্থান প্রধান সড়ক লাগোয়া। ফলে পথচারীদের দুর্ভোগ বেশি। এ অবস্থায় দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন