চিতলমারীতে প্রার্থীকে গালি দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার ৬ মাসের কারাদণ্ড

কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কলাতলা ভোটকেন্দ্রের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালের পক্ষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনের এজেন্টকে গালিগালাজ করা ও প্রার্থীর বিষয়ে বাজে কথা বলায় এ সাজা দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল। তিনি উপজেলার চরবানিয়ারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ ঘোষণার পর ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি চরবানিয়ারি এলাকার প্রয়াত আদিত্য মণ্ডলের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অরবিন্দু বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো সমস্যা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিতলমারীতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩-এর ৩ (২) ধারায় তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোথাও কোনো সমস্যা পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ ঘোষণার পর ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে বাগেরহাটের তিন উপজেলা চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ চলছে।

চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এরই ভেতর সংসদ সদস্যের নামে ভোট চাওয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশ নেই দাবি করে ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম অহিদুজ্জামান (আনারস প্রতীক)। ফলে এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল (মোটরসাইকেল) ও আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনের (দোয়াত-কলম) মধ্যে। চিতলমারী উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৯৪৯ জন। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৪০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।

ফকিরহাটে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৬ জন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।
মোল্লাহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩৮ জন। মোল্লাহাটের ৭ ইউনিয়নের ৩৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।