বিরামপুরে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে মৃত্যু

ট্রেনের চাপায় মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ট্রেনটির চাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিরামপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম ওরফে নয়ন (৪৪)। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় হাসান আলীর ছেলে।

বিরামপুর রেলস্টেশন, রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে বিরামপুর পৌর শহরের মামুনাবাদ খানকাহ শরিফে একটি ইসলামি মাহফিল ছিল। মাহফিল শেষে অতিথিদের সকালে ট্রেনে করে ঢাকায় পৌঁছে দিতে শফিকুল ইসলাম বিরামপুর রেলস্টেশনে যান। তিনি অতিথিদের ট্রেনে উঠতে সহযোগিতা করেন। অতিথি সবার ট্রেনে ওঠা শেষে তিনি ট্রেনে উঠা শুরু করেন। এ সময় পা পিছলে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে পড়ে যান। এতে ট্রেনটির চাপায় শরীর থেঁতলে তিনি মারা যান।

বিরামপুর রেলস্টেশনের মাস্টার আনন্দ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসংলগ্ন একটি অতিরিক্ত বগি বিরামপুর থেকে ১০৫ জন যাত্রীর জন্য ভাড়া করা ছিল। ট্রেনটি আজ শনিবার বেলা ১১টা ২১ মিনিটে বিরামপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে। সব যাত্রী ট্রেনে ওঠে পড়েন। পরে ট্রেনটি বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে দেয়। এ সময় চলন্ত ট্রেনটির পেছনের একটি বগিতে হাতে ব্যাগ ও বালতিসহ একজন যাত্রী দৌড়ে ওঠার চেষ্টা করেন। ওই যাত্রী পা পিছলে প্ল্যাটফর্মের নিচে পড়ে ট্রেনের চাপায় গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।