ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই, ঈদযাত্রায় স্বস্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই। ফলে এই পথে ঈদে ঘরমুখী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন। এই মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ থেকে মেঘনার গোমতী সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার অংশে আজ শনিবার ভোর থেকে কোনো যানজট নেই। সীতাকুণ্ডেও গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
আজ থেকে ঈদের পরবর্তী তিন দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে না। এতে এই পথে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছেন।
ঢাকার বেসরকারি চাকরিজীবী চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল হক আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে বলেন, স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে ওঠেন। সকাল পৌনে ৮টায় দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে কোনো যানজট ছিল না।
কুমিল্লার চান্দিনাগামী বিআরটিসি বাসের চালক মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রামগামী শৌখিন পরিবহনের বাসের চালক রেজাউল করিম, কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের চালক সুমন ব্যাপারী ও হাসান মিয়া, নোয়াখালীর রামগঞ্জগামী বাসের চালক নাছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, আজ ভোরের দিকে মেঘনা সেতু এলাকায় যানজট ছিল। তবে মহাসড়কের অন্য কোথাও যানজট নেই।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার দিনের ও রাতের যানজট গভীর রাতেই শেষ হয়ে গেছে। আজ সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।
এদিকে মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও যানজট দেখা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, আজ থেকে ঈদের পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে আর পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে না। ফলে সীতাকুণ্ড অংশে যানজট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে মহাসড়কের পাশে গরুর বাজারগুলোর কারণে দুটি স্থানে যানজট হওয়ার আশঙ্কা হাইওয়ে পুলিশের। সে ক্ষেত্রে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের আশঙ্কায় থাকা মহাসড়কের কুমিরা থেকে চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট এলাকা পর্যন্ত ছয়টি স্পটে কোথাও যানজট নেই। তবে পাক্কা মসজিদ, কুমিরা, রয়েল সিমেন্ট গেট এলাকায় অবৈধভাবে পার্কিং করা আছে কিছু গাড়ি। মহাসড়কে গাড়ি চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে কিছুটা গাড়ির চাপ বেড়েছিল। রাত ১২টার দিকে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। আজ সকাল থেকে গাড়ি চলাচল করছে নির্বিঘ্নে। রাস্তা ফাঁকা থাকলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। চালকেরা যেন বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সেদিকে নজর রাখা হবে।