সাড়ে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, দম্পতি গ্রেপ্তার
বিদেশে পাঠানো ও ব্যবসার কথা বলে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুরের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে যশোরের বেনাপোলের সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর স্ত্রী নুর নাহার (৩৪)।
আজ রোববার দুপুরে মাদারীপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালত এই দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বলছে, তাঁরা দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং দেশে আত্মগোপনে থেকে কানাডার নম্বর ব্যবহার করে যোগাযোগ করতেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর আদালতে ২০২৩ সালে একটি প্রতারণা মামলায় জহিরুল ইসলামের এক বছর এবং ২০২৪ সালে প্রতারণা মামলায় নুর নাহারের ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় হয়, তবে তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন। বিদেশে পাঠানো ও ব্যবসার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
দেশে আত্মগোপনে থেকে নিজেদের কানাডাপ্রবাসী পরিচয় দিতেন। যোগাযোগও করতেন কানাডার ফোন নম্বর দিয়ে। গতকাল বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে যশোরের বেনাপোলের সীমান্ত এলাকা থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৬। পরে তাঁদের যশোরের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ সময় থানায় ভিড় করেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা। তাঁরা বলেন, এনজিওকর্মী ছিলেন নুর নাহার। ঘুরে ঘুরে লোন দেওয়া ও টাকা তোলার সুবাদে অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময় বিভিন্নভাবে প্রতারণামূলক কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করে স্বামীসহ পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী এক আইনজীবী ইমন হোসেন বলেন, ‘আমাকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। পরে ২১ লাখ টাকার একটি চেক দেন। সেই চেক দিয়ে মামলা করলে যশোরের র্যাব-৬ ও রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সহযোগিতায় তাঁদের যশোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে গ্রেপ্তার ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। তাঁরা দুজনই একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।