কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪০ নেতা–কর্মীর নামে আওয়ামী লীগ নেতার মামলা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে এক সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ এনে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ফুলবাড়ী থানায় মামলাটি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জনাব আলী। এতে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব ওরফে সজীব মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, গতকাল বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন। পরে রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব ওরফে দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার সময় বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের ২০ জন নেতা–কর্মী আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসার পথে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হন। পরে তাঁরাই আবার উল্টো বিএনপির নামে মামলা দিয়েছেন বলে শুনেছেন।

মামলার বাদী জনাব আলী বলেছেন, গতকাল সমাবেশ ঘিরে বিএনপির নেতা–কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দিতে থাকেন। লাঠিসোঁটা হাতে মিছিলে বাধা দিলে তাঁরা অতর্কিত হামলা চালান। এতে ছাত্রলীগের ছয়জন কর্মী আহত হন। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। ফুলবাড়ীকে অশান্ত করার চেষ্টা করায় মামলা করা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে আর এ রকম কাজ করার সাহস কেউ না পান।

মামলার বাদী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা জনাব আলী বলেছেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে যাতে সমাবেশ করে এবং লাঠিসোঁটা হাতে যেন মিছিল বের না করে, সেটা বলার জন্য আমি তাঁদের মিছিলের সামনে গিয়েছিলাম। সে সময় নেতা–কর্মীরা আমার ওপরও হামলা করেছেন, তবে আমার শারীরিক জখম হয়নি। তাই আমিই মামলা করেছি।’