এইচএমপিভি সংক্রমণ প্রতিরোধে হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে বাড়তি সতর্কতা
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) সংক্রমণ প্রতিরোধে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই মেডিকেল টিম ভারত থেকে আসা বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং বুথে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
এই বুথে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (এমওডিসি) অধীনে একজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (স্যাকমো) নিয়মিত বসছেন। তিনি ওই বুথে বসানো থার্মাল স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করছেন। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টবাহী যাত্রীদের প্রবেশ করার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি জোর দিচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সেখানে এইচএমপিভি ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক ফেস্টুন লাগানো হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে ভারত থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন প্রিয়াংকা সরকার। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুরের বাসিন্দা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়েছিলাম। আজ দুপুরে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। চেকপোস্টের মেডিকেল টিম আমার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছে। আমি ভারতে অবস্থানকালে আমার শরীরে জ্বর, সর্দি–কাশি বা কোনো ধরনের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল কি না, এসব জানতে চেয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের এই ব্যবস্থা ভালো লেগেছে।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মেডিকেল টিমে দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যাকমো জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৩ জানুয়ারি সকাল থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। এখানে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতে অবস্থানকালে কোনো যাত্রীর জ্বর, সর্দি–কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল কি না, এসব তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর শরীরে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা লক্ষ করা যায়নি।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কর্মীরা মুখে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করছেন। আর এখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ টিম ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। এ ছাড়া এইচএমপিভি প্রতিরোধে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চত্বরে পাসপোর্টবাহী যাত্রী ছাড়া অন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।