নতুন ঘর পেলেন বিধবা আনোয়ারা বেগম
জীবনযুদ্ধের দীর্ঘ লড়াইয়ে বিধবা আনোয়ারা বেগম (৬০) অভাব–অনটনের মধ্যে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ২৬ বছর। স্বামীর মৃত্যুর পর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের ঢালে ভাঙাচোরা একটি ঝুপড়ি ঘরই ছিল তাঁর শেষ আশ্রয়। মাথার ওপর ভাঙা টিনের ছাউনি, চারপাশে দুর্বল বেড়া—যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারত সেই ঘর। দুই কন্যাসন্তান নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যেই জীবন পার করেছেন। তিনি পাননি কোনো সরকারি সাহায্য কিংবা সমাজের সহায়তা।
দীর্ঘ কষ্টের পর এবার আশার আলো দেখছেন আনোয়ারা। ভোলা–৪ (চরফ্যাশন–মনপুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া তাঁর জন্য নতুন টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন ঘরে আলো ঝলমল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে দূর থেকে সেই বাড়ি দেখে মনে হতো পরিত্যক্ত কোনো ভাঙা ঝুপড়ি। অথচ সেখানেই অনাহার–অর্ধাহারে টিকে ছিলেন আনোয়ারা বেগম। এখন নতুন ঘর পেয়ে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া শুধু আনোয়ারা বেগমের জীবনেই পরিবর্তন আনেননি, আরও অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আহাম্মদপুর ইউনিয়নের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে শামীম গাছ থেকে পড়ে কোমর ভেঙে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তাঁর পুনর্বাসনের জন্য ছিদ্দিক উল্লাহ একটি দোকান করে দিয়েছেন এবং চলাফেরার জন্য হুইলচেয়ার কিনে দিয়েছেন।
এ ছাড়া বোরহানউদ্দিনে দুর্ঘটনায় পা হারানো ইয়ানুর বেগম (৪৮) দীর্ঘদিন ধরে ক্রাচের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাঁর চলাফেরা সহজ করতে উপহার দিয়েছেন নতুন হুইলচেয়ার।
নিজ উদ্যোগে এই আইনজীবী চরফ্যাশনের শুকনাখালী বাজার ও গাছিখাল বাজারে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি অসুস্থ চর কলমী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাজাহান চৌধুরীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।
মানবিক এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে ছিদ্দিক উল্লাহ বলেন, তিনি কাউকে কখনো খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার হাত। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।