মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

জাকির হোসেন মোল্লা
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লাকে (৫৪) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুলপদ্বী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জাকির হোসেন কুলপদ্বী এলাকার লতিফ মোল্লার ছেলে। পুলিশের ধারণা, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে ফিরছিলেন জাকির হোসেন। তিনি উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করা হয়। জাকিরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাকিরকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজ হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর জানামতে জাকিরের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। হামলার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জাকিরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এই হামলা হতে পারে। আহত জাকিরের অবস্থা গুরুতর। তাঁর হাত, পা ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, জাকিরের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।