ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অস্ত্রের মুখে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. বাবুল হোসেন (৩৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার আগে তিনি ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নড়াইলের লোহাগড়া থানার কামঠানা গ্রামের পাপ্পু বিশ্বাস স্বর্ণালংকারের ব্যবসা করেন। যশোর জেলা শহরে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। ৭ জুলাই রাতে ভাঙ্গা বাজারের কয়েক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১১০ ভরি সোনা কেনেন পাপ্পু বিশ্বাস। সোনা কিনে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা বাজারে তাঁর গতিরোধ করেন এএসআই বাবুল হোসেন ও তাঁর সহযোগী মেহেদী হাসান। এ সময় পুলিশ সদস্য পাপ্পুর কাছে থাকা সোনা অবৈধ বলে ছিনিয়ে নেয়। পাপ্পু তাঁর ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখালেও ৪০ ভরি সোনা রেখে বাকিটা ওই ব্যবসায়ীকে ফেরত দেন এএসআই বাবুল। এ ঘটনার ছয় দিন পর পাপ্পু বাদী হয়ে থানায় ১৩ জুলাই মামলা করেন।

ওই দিনই এএসআইসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এএসআই বাবুলের ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া সোনা উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহমিদা কাদের চৌধুরী বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর এএসআই বাবুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিভাগীয় তদন্তের স্বার্থে এএসআই বাবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে তা করা হবে।