নেত্রকোনায় ধারালো অস্ত্রের কোপে দুই পা ও এক হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ধারালো অস্ত্রের কোপে বৃদ্ধের হাঁটুর নিচ থেকে দুটি পা ও কনুই থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে প্রচুর রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কালডোয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত বৃদ্ধের নাম ইদ্রিস আলী (৬৪)। তিনি কালডোয়ার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এলাকায় দরজির দোকানে কাজ করতেন।

পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বপ্রিয় মজুমদার বলেন, ধারালো অস্ত্রের কোপে বৃদ্ধ ইদ্রিস আলীর হাঁটুর নিচ থেকে দুটি পা ও কনুই থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস আলী গতকাল সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর সেখান থেকে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বাড়ির কাছে পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইদ্রিসের ছোট ভাই শামছুল ইসলাম বলেন, তাঁদের চাচা আক্কাছ আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে চাচাতো ভাই মোস্তাফিজ মিয়া ও মিজানুর রহমান লোকজন নিয়ে ইদ্রিস আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ইদ্রিস আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত বৃদ্ধের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।