ফরিদপুরে গৃহবধূকে অ্যাসিড ছোড়ার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

কারাদণ্ডপ্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় গৃহবধূকে অ্যাসিড ছোড়ার দায়ে এক যুবককে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম সুজন কুমার হালদার (৩৩)। তিনি মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের বেলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার পর তাঁকে পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার একটি গ্রামের এক সন্তানের মা ওই গৃহবধূকে দুই বছর ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন সুজন কুমার হালদার। এতে ওই গৃহবধূ রাজি হননি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিসও হয়েছে। সালিসে সুজনকে সতর্কও করা হয়। পরে এ ঘটনার জেরে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই গৃহবধূর মুখমণ্ডল ও শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে মেরে পালিয়ে যান সুজন। সন্ধ্যায় রান্না করার সময় ওই গৃহবধূ অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হন।

এ ঘটনার পরের দিন গৃহবধূর ভাশুর বাদী হয়ে মধুখালী থানায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর একমাত্র আসামি সুজন কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর সুজন কুমার হালদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী রায়। অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা সামাজিকভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ রায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা কমে আসবে। অপরাধীরা বুঝতে সক্ষম হবে, অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না।