দীপু দাসের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের
ময়মনসিংহের ভালুকায় নিহত পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ দুপুর ১২টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ওই সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা, শুকনা খাবার, শীতবস্ত্র, সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। দীপুকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেন পরিবারের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিবারটিকে বিধবা ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। শোক কাটিয়ে উঠলে তাঁদের যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। ইতিমধ্যে ১২ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অডিও এবং ভিডিও চিত্র দেখে যারা সরাসরি জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম নাজমুস ছালেহীন প্রমুখ।
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে বিবস্ত্র করে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দীপু চন্দ্র তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।