রংপুরে পারিবারিক বৈঠকে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

রংপুর সদর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিষয়ে পারিবারিক বৈঠকে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবলীগ কর্মীর নাম রেজাউল ইসলাম (২৮)। তিনি উপজেলার লাহিড়ীরহাট এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁর পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ বিকেলে নিজ বাড়িতে পারিবারিক বৈঠকে বসেন রেজাউলসহ তাঁর চাচাতো ভাই রাব্বী ও অন্য ব্যক্তিরা। এ সময় রেজাউলের সঙ্গে রাব্বীর বাবার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাব্বী রামদা দিয়ে রেজাউলের মাথায় কোপ দেন। স্বজনেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’

রংপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বলেন, ‘রেজাউল যুবলীগের একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন কর্মী হারালাম। আমরা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত সরকার বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর নাম–পরিচয় জানানো হচ্ছে না। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।