নাচে-গানে সাফজয়ী মারিয়া-শিউলিকে অন্য রকম সংবর্ধনা

নাচে–গানে সাফজয়ী মারিয়া মান্দা ও শিউলি আজিমকে বরণ করে নেয় সম্মিলিত গারো ছাত্র সমাজ। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

ছুটি পেয়ে বৃহস্পতিবার কলসিন্দুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের আট সদস্য। সাধারণত ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। তবে কলসিন্দুরের অপরাজিতা নারী ফুটবলাররা ভোরে রওনা দিয়ে বাড়ি পৌঁছেছেন শুক্রবার রাতে। বিলম্বের কারণ পথে পথে মানুষের ভালোবাসা।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন কলসিন্দুরের আট নারী ফুটবলার। তবে এসব সংবর্ধনা ছিল প্রায় একই ধাঁচের। বক্তব্য আর উপহার প্রদান।

আরও পড়ুন

আজ রোববার দুপুরে ভিন্ন রকম এক সংবর্ধনা পেয়েছেন কলসিন্দুরের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের দুই ফুটবলার মারিয়া মান্দা ও শিউলি আজিম। তাঁদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নাচ দিয়ে শুরু হয় সংবর্ধনা। শেষেও ছিল গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মধ্যে বক্তব্য ও উপহার প্রদান। সম্মিলিত গারো ছাত্রসমাজের উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ময়মনসিংহের ভাটিকাশর এলাকায় অবস্থিত ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে।

গারো সম্প্রদায়ের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আশিষ বনোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম। শুরুতে মারিয়া ও শিউলি মিলনায়তনে ঢুকতেই গারো সম্প্রদায়ের তরুণীরা নিজেদের ভাষার গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন। মারিয়া ও শিউলি যখন সংবর্ধনা মঞ্চে যান, তখন আরও একটি নৃত্য পরিবেশিত হয়।

আরও পড়ুন
সম্মিলিত গারো ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সাফজয়ী মারিয়া মান্দা ও শিউলি আজিমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানে শিউলি আজিম বলেন, ‘আমি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন স্থানে মানুষের কাছে নিজের গারো পরিচয়ের জন্য গর্ব করি। বর্তমানে খেলার পাশাপাশি ফুটবল কোচিং শিখছি। ভবিষ্যতে গারো তরুণীদের নিয়ে কাজ করব।’

মারিয়া বলেন, ‘সাফ জয়ের পর সারা দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডেভিড রানা চিসিম বলেন, ‘সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের সবার জন্য আমরা গর্বিত। পাশাপাশি কলসিন্দুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া আটজনের জন্য এবং গারো সম্প্রদায়ের এই দুজনের জন্য আমরা বিশেষভাবে গর্বিত। তাঁরা অনেক তরুণ-তরুণীদের কাছে এখন অনুপ্রেরণা।’

আরও পড়ুন