সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে গিয়ে আবার জড়ালেন হাতাহাতিতে

শরীয়তপুর সদর উপজেলার দরিচর দাদপুর এলাকায় কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় কৃষকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দরিচর দাদপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়েও তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের দরিচর দাদপুর গ্রামের সাইদুল মল্লিক ও রিপন মল্লিকের মধ্যে কৃষিজমি নিয়ে বিরোধ আছে। এর জেরে আজ সকাল আটটার দিকে এ দুজনের সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে দুই পক্ষের অন্তত চারটি বসতবাড়ি।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাইদুল মল্লিক (৪০), ঈমান মল্লিক (৫০), মফিজ মল্লিক (৬০), লাইলী আক্তার (২০), এবায়দুল মল্লিক (৩৩), সজিব মল্লিক (২৩) ও হামিম মল্লিককে (২১) শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুই পক্ষের লোকজন আবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন হাসপাতালের কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের জরুরি বিভাগ থেকে সরিয়ে দেন।

সাইদুল মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিপন মল্লিকসহ কয়েকজন মিলে আমাদের জমি দখল করে রেখেছেন। আজ আমাদের আত্মীয়স্বজনেরা মিলে সেই জমিতে ফসল লাগানোর জন্য যাচ্ছিলাম। তখন তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের ছয়জন আহত হয়েছেন।’

রিপন মল্লিক বলেন, ‘আমাদের জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করেছিল সাইদুলসহ কয়েকজন। তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমাদের চারজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।’

আজ সকালে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত নিয়ে সাত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শরীফ উর রহমান। তিনি বলেন, তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীদের সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা জরুরি বিভাগে হাতাহাতিতে জড়ান। তখন হাসপাতালের কর্মীরা তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করেন।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দরিচর দাদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা সদর হাসপাতালে ঝামেলা করছে এমন খবর পেয়ে ছুটে আসি। দুই পক্ষের মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’