খুলনা নগরে ওএমএসের পণ্য অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা, চাল–আটা জব্দ

খুলনা নগরের বাগমারা এলাকায় ওএমএসের চাল অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তা আটক করে। পরে চাল জব্দ করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক
ছবি: প্রথম আলো

ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিক্রি না করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছিলেন খুলনা নগরের এক পরিবেশক (ডিলার)। স্থানীয় ব্যক্তিরা তা বুঝতে পেরে তাঁকে আটক করে পুলিশ ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খবর দেন। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওই দোকান থেকে ৪৫০ কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা জব্দ করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।

ওই ডিলারের নাম মাহমুদা খাতুন। তিনি মেসার্স আর এম এন্টারপ্রাইজের মালিক। নগরের বাগমারা মেইন রোড এলাকায় তিনি ওএমএসের চাল বিক্রি করেন।

খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একজন ডিলার বিক্রির জন্য দিনে পান এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা। প্রতি কেজি চাল ৩০ ও আটা ২৪ টাকায় বিক্রি করতে পারেন তিনি। একজন সুবিধাভোগী সর্বোচ্চ তিন কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা কিনতে পারেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ডিলার মাহমুদা খাতুনের দোকানে চাল বিক্রি শুরু হয়। কয়েকজনকে চাল দেওয়ার পর বলা হয় আর চাল নেই। পরে দোকানের মধ্যে একটি ইজিবাইক ঢুকিয়ে চালের বস্তা অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এলাকাবাসী দোকানটি ঘিরে ধরে পুলিশ ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলামকে খবর দেন। পরে তাজুল ইসলাম গিয়ে দোকানের তালা ভেঙে চাল ও আটা উদ্ধার করে নিয়ে যান।

ওই এলাকার সাহারা বেগম বলেন, সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ১০টার দিকে দুই কেজি চাল দেওয়া হয়। এ সময় চাল কম আছে বলে তাঁকে জানানো হয়।  

আবদুল জলিল নামের আরেকজন বলেন, তাঁকে কোনো চাল দেওয়া হয়নি। চাল নেই বলে আর এম এন্টারপ্রাইজের মালিক ও তাঁদের লোকজন খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি দেখতে পান, চাল ইজিবাইকে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় অন্য ব্যক্তিদের সহায়তায় তাঁদের আটক করা হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায় দোকানে তালা দেওয়া। ডিলার সেখানে নেই। পরে তালা ভেঙে দোকান থেকে ১৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) চাল ও ১ হাজার কেজি আটা পাওয়া যায়। সেগুলো জব্দ করে আনা হয়েছে। ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।