দুটি কাতলা শিকার করে ইউনুস আলী জিতলেন আড়াই লাখ টাকা

বড়শি দিয়ে শিকার করা ৬ কেজি ১৭০ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ হাতে ইউনুস আলী (কোমরে গামছা বাঁধা)। শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

ইউনুস আলী (৫৬) শৌখিন মাছশিকারি। দেশের বিভিন্ন জেলায় তিনি শখ করে মাছ শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। শনিবার দিনভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার কলেজ দিঘিতে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বড়শি দিয়ে দুটি কাতলা মাছ ধরে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার জিতেছেন তিনি। দুটি কাতলা মাছ শিকার করে প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর ইউনুস আলী একই এলাকার দিরেশ দিঘিতে ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম ও ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের দুটি কাতলা মাছ শিকার করে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন পৌনে চার লাখ টাকা।

শনিবার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার কলেজ দিঘিতে বড়শি দিয়ে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল কলেজ দিঘি মৎস্য চাষ সমিতি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

ইউনুস আলী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শনিবার সকাল ৬টায় ২৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে ৬ কেজি ১৭০ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ শিকার করেন। এর দুই ঘণ্টা পর শিকার করেন ৩ কেজি ৬৭৫ গ্রাম ওজনের আরেকটি কাতলা মাছ। প্রথম মাছটির জন্য প্রথম পুরস্কার পান। আর পরের মাছটির জন্য জেতেন তৃতীয় পুরস্কার। এরপর আরও কয়েকটি মাছ শিকার করেন। দিন শেষে ইউনুস প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জিতে নেন।

সকাল ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ২১ জন মৎস্যশিকারি অংশ নেন। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও তিনটি জেলা থেকে এসেছেন। এ জন্য প্রত্যেক শিকারিকে ২৫ হাজার টাকা করে আয়োজকদের দিতে হয়েছে। প্রতিযোগীদের জন্য ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার চারটি পুরস্কার।

সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের রাকিব খান ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ শিকার করে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ টাকা।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের শাহ খলিল ৩ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ শিকার করে চতুর্থ হয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিযোগিতা দেখতে অনেক দর্শকের সমাগম ঘটে। প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন উপজেলা শৌখিন মৎস্য শিকার সমিতির সভাপতি রতন বক্স।