নাটোরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে শরিফুল ইসলাম (৩১) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল। সোমবার দুপুরে ট্রাইবুন্যালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

শরিফুল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কেচুয়াফোড়া গ্রামের সামশুল হকের ছেলে। মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।

ট্রাইবুন্যাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে প্রকাশ্য আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে স্ত্রী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে মামলার আসামি শরিফুলের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী হাসনা হেনাকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার টাকা মামলার বাদীকে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আসামি জহুরুল ইসলাম, সামিরুল ইসলাম ও সাহারা বেগমকে খালাস দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শরিফুলের সঙ্গে বাদী মর্জিনা বেগমের মেয়ে হাসনা হেনার বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আসামিরা তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করলে হাসনা হেনার পরিবারের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও নির্যাতন থামে না। ফলে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি পুনরাই তাঁদের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবারও দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য অত্যাচার শুরু করে। ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট আসামি নিজ শয়নঘরে যৌতুকের টাকার জন্য হাসনাকে মারপিট করে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরের দিন খবর পেয়ে বাদী ও স্বজনেরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ও সদর থানায় মামলা করেন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত শরিফুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।