উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নগদ টাকা ১০ বছরে বেড়ে ৪০ গুণ

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নগদ অর্থের পরিমাণ গত ১০ বছরে বেড়েছে ৪০ গুণ। দশম ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মোকতাদির চৌধুরী ২০১১ সালের উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন। তিনি বর্তমানে ওই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার চতুর্থবারের মতো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মোকতাদির চৌধুরী তাঁর পেশা কৃষি বলে উল্লেখ করেছিলেন। তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের আসন্ন নির্বাচনের হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতি, কৃষি, ব্যবসা ও পরামর্শক হিসেবে কাজের কথা উল্লেখ করেছেন। এখন তাঁর আয় ৬৩ লাখ টাকার বেশি। তিনি তাঁর স্ত্রীর আয় সম্পর্কে এই দুই হলফনামায় কিছু উল্লেখ করেননি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে ছিল পাঁচ হাজার টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে এখন তাঁর নগদ অর্থ ২০ লাখ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর কাছে কোনো নগদ নেই। মোকতাদিরের ব্যাংকে জমা ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন প্রায় ৮ লাখ টাকা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর ব্যাংকে জমা ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা থেকে ১০ বছরে হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। আগে শেয়ারবাজারে মোকতাদিরের কোনো বিনিয়োগ না থাকলেও এখন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৭৮ লাখ টাকা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে পাওয়া এক কোটি টাকা নানা ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন।

সর্বশেষ হলফনামায় মোকতাদির চৌধুরী স্থাবর সম্পদের তালিকায় পূর্বাচলে জমি থাকার তথ্য যুক্ত করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিজের ও স্ত্রীর নামে ঋণ ছিল ২২ লাখ টাকার মতো। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ লাখ টাকার বেশি।