কুষ্টিয়ায় লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা বাজারসংলগ্ন বাসার সামনেই তাঁকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় রোববার সকালে শহিদুল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শহিদুলের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিয়াড় গ্রামে। আহত সাংবাদিকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম উপজেলা বাজারে দাপ্তরিক কাজ শেষে বাসায় ফিরে প্রধান ফটকের তালা খুলছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা আট–নয়জনের এক দল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। এরপর সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে আহত সাংবাদিকের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহিদুল বলেন, রাত দেড়টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরে তিনি তালা খুলছিলেন। এ সময় তিনটা মোটরসাইকেলে করে আসা হেলমেট পরা আট-নয়জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ‘খুব বেড়ে গেছিস’ বলে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান বলেন, শহিদুল ইসলামের মাথা ও মুখমণ্ডলে শক্ত ও ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় সাতটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত–আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।