ছাত্রী উত্ত্যক্তের জের ধরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ

ছাত্রীর উত্ত্যক্তকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের ২ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অন্তত আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও একটি আবাসিক ভবনে ভাঙচুর হয়। আজ সোমবার বিকেলে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৫৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

সংঘর্ষের সময় আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন ভৈরব শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্যামল মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কয়েকজন তরুণ উত্ত্যক্ত করেন। এ সময় ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মো. মুহিন নামের এক যুবক ঘটনার প্রতিবাদ জানান। উত্ত্যক্তের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. রুজেন নামের এক তরুণকে মারধরও করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর রুজেনের পক্ষের লোকজন মুহিনের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উভয় পক্ষ বঙ্গবন্ধু সরণি সড়কে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ নূরে আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (ভৈরব ও কুলিয়ারচর সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন খান ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম ঘটনাস্থলে আসেন। পরে পুলিশ ৫৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫টি টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি বিপণিবিতান, একটি আবাসিক ভবন ও একটি সংগীতের যন্ত্রের দোকান রয়েছে। সংগীতের যন্ত্রাংশের দোকান মালিক সুনিল সরকারের স্ত্রী শিখা রাণী সরকার জানান, দোকানের সবকিছু লুট হয়ে গেছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই খবরে তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ভৈরব থানার ওসি মাকছুদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।