স্ত্রীকে বেঁধে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়লেন স্বামী

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্বামীর লাশ। আর তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা ছিল খাটের সঙ্গে। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকার একটি ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই গৃহবধূকেও উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণের নাম মো. হৃদয় (২২)। তিনি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পারিঘাটা গ্রামের মো. শাহিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের পশ্চিমখণ্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী মোছা. আর্জিনা তাঁর সঙ্গে থাকতেন। গৃহবধূ আর্জিনার ভাষ্য, তাঁর হাত-পা খাটের সঙ্গে বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে তাঁর সামনেই হৃদয় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আর্জিনা মো. হৃদয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিন মাস আগে তাঁকে বিয়ে করেন হৃদয়। তবে বিয়ের বিষয়টি দুই পরিবারের কেউ জানতেন না। গতকাল রাতে ঘরের ভেতরে থেকে চিৎকার শুনে পাশের কক্ষের লোকজন বাড়ির মালিককে খবর দেন। পরে লোকজন গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হৃদয়ের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন। আর খাটের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আর্জিনার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

গৃহবধূ আর্জিনা বলেন, গতকাল রাতে স্বামী তাঁর হাত-পা বাঁধা শুরু করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি (আর্জিনা) চিৎকার শুরু করেন। তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে দেন। পরে তাঁর ওড়না ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন স্বামী।

আর্জিনা আরও বলেন, তাঁর স্বামীর প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি প্রথমে জানতেন না। পরে জানলেও তিনি তা মেনে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সংসার করছিলেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তরুণের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।