হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য দেন সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম। এ নিয়ে এই মামলার বাদীসহ ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকাল নয়টার দিকে তাঁকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহ্ মো. সোহাগ, সোনারগাঁ বাসিন্দা রতন মিয়াসহ ১১ জন আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আজ ছয় সাক্ষীর মধ্যে দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী ৪৩ জন। এর মধ্যে মামলার বাদীসহ ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পুলিশের দুই কর্মকর্তা আদালতে জেরায় অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক।
গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল ও ঝর্নাকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে এ মামলায় গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।