‘মন খারাপের সময় কখনো একা থাকতে নেই’

শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করতে প্রথম আলো ট্রাস্টের আয়োজনে পরামর্শ সভা। আজ সকালে ময়মনসিংহ কমার্স কলেজ মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো না হওয়া বা অন্য কোনো কারণে মন খারাপ হলে কখনো একা থাকতে নেই। মন খারাপের কারণ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয়। তারপরও যদি ১৫ দিনের মধ্যে মন খারাপের অবস্থা ঠিক না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ময়মনসিংহ কমার্স কলেজে অনুষ্ঠিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পলাশ রায়। আজ সোমবার বেলা ১১টায় শুরু হয় এ পরামর্শ সভা। কমার্স কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ৩০০ শিক্ষার্থী এ সভায় উপস্থিত ছিল।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসভাপতি সাদিকুল ইসলাম। সাদিকুল ইসলাম উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘মাদককে না’ বলার শপথ করান। এরপর বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান। এখলাস উদ্দিন খান কমার্স কলেজে এ পরামর্শ সভা করার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।

উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ৩০০ শিক্ষার্থী এ সভায় উপস্থিত ছিল।

সভায় মাদকের কুফল ও মাদকাসক্তির কারণে সৃষ্ট মনোরোগের বিষয়ে কথা বলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান কাওসার আহমদ এবং একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পলাশ রায়। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা।

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ময়মনসিংহ কমার্স কলেজে মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা
ছবি: প্রথম আলো

চিকিৎসক কাওসার আহমদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সিগারেট হচ্ছে মাদকাসক্তির প্রথম সিঁড়ি। কাজেই জীবনের শুরু থেকেই সচেতন থাকতে হবে যেন কেউ ধূমপানে আসক্ত না হয়। ধূমপানের আসক্তি এড়াতে নিজের মনোবল শক্ত রাখতে হবে। কখনো কোনো বন্ধুর অনুরোধেও যেন কেউ কখনো ধূমপান না করে।

কাওসার আহমদ আরও বলেন, মুঠোফোনের আসক্তিও অনেক সময় মাদকাসক্তির কারণ হতে পারে। যে কারণে প্রয়োজন ছাড়া কখনো মুঠোফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনকি রাতে শোবার সময় কখনোই কেউ যেন বিছানায় মুঠোফোন নিয়ে না যায়।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দুজন চিকিৎসকের উদ্দেশে নিজেদের নানা প্রশ্ন লিখে জমা দেন। প্রথম আলো ট্রাস্ট সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা চিকিৎসক কাওসার আহমদ ও পলাশ রায়ের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর পরবর্তীতে কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান। এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রথম আলো ট্রাস্টের সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন এবং প্রথম আলোর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল বাশার।