সুনামগঞ্জে পুনর্বাসনের দাবিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ, পোলট্রি ও গবাদিপশুর খামারিরা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছেন। দুপুরে জেলার শহরের আলফাত স্কয়ারে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা পুনর্বাসন, প্রণোদনা, ব্যাংকঋণ পুনঃ তফসিল, নতুন করে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও খামারিদের জন্য বিমা চালুর দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় খামারিরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। সব বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। সরকারিভাবে এসব খামারিকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। অনেকের ব্যাংকে ঋণ আছে। কিন্তু ঋণের কিস্তি দেওয়ার মতো সামর্থ্য খামারিদের নেই। ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিতে হবে।
মানববন্ধন চলাকালে সালেহীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন খামারি সাহাজ উদ্দিন, সাইফুল সিদ্দিকী, নুরুল আলম, তোফাজ্জল হোসেন, ওয়াকিল সিদ্দিকী, রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ১২টি উপজেলায় ২৫ হাজার ১৭৩টি পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। জেলায় মাছচাষি আছেন ১৬ হাজার ৫০০ জন। ভেসে যাওয়া মাছের পরিমাণ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, পোনা ভেসে গেছে প্রায় ১০ কোটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার। বন্যায় গবাদিপশু মারা গেছে ১ হাজার ৭০০টি। আর হাঁস-মুরগি মারা গেছে ১ লাখ ২৬ হাজার।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মণ্ডল বলেন, সুনামগঞ্জে এর আগে কখনো খামারিরা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। খামারিরা সব হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাঁদের পুনর্বাসন জরুরি, না হলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সরকারি কোনো সহায়তা এলে খামারিরা পাবেন।’