দেবীর বিদায়ের আগে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন নারী ভক্তরা

জীবনকে রাঙিয়ে তোলার প্রত্যয়ে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন নারীরা। আজ বুধবার সকালে রংপুর নগরের পালপাড়া মদনমোহন ঠাকুরবাড়িতে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

দেবীর বিদায়ের দিনে রংপুরের পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন নারী ভক্তরা। জীবনকে রঙিন করে রাঙিয়ে তুলতে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ছিল নারীদের সিঁদুর খেলার উৎসব। এ সময় ঢাকের বাদ্যে পরিবেশ হয়ে ওঠে আনন্দমুখর।

আজ বুধবার বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাদশমী। রংপুরে একযোগ সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। পূজামণ্ডপগুলোতে এখন বাজছে দেবীর বিদায়ের ঘণ্টা।

শহরের পালপাড়া এলাকায় মদনমোহন ঠাকুরবাড়ি পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায় নারীদের। এ সময় একে অপরকে গালে–মুখে সিঁদুর মেখে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন ভক্তরা।

উৎসবমুখর পরিবেশে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা
ছবি: প্রথম আলো

সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠা নন্দিনী দাস বলেন, ‘দেবীর বিদায়ে আমাদের সিঁদুর খেলায় যেন অন্য রকম এক ভালোবাসা ফুটে ওঠে। এই দিনের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। আগামী দিনগুলো রঙিন হয়ে ওঠে যেন আমাদের জীবনে।’ একই ধরনের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করলেন ঋতুপর্ণা সরকারও।

এই পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি নিখিল চন্দ্র গুহ ও সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার দাস বলেন, দেবী বিসর্জনের আগে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় সিঁদুর খেলা।
সিঁদুর উৎসব দেখা যায় করুণাময়ী কালীবাড়ি পূজামণ্ডপেও। নেচেগেয়ে গানের তালে তালে নারীদের সিঁদুর খেলার মাধ্যমে যেন অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ ফুটে ওঠে।

কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবন প্রসাদ বলেন, এবার অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। সেই সঙ্গে উৎসবমুখর ছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। মা দুর্গা দেবীর বিদায়ের অন্তিম মুহূর্তে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। সেই সঙ্গে সন্ধ্যার পর একযোগে সব পূজামণ্ডপে বিসর্জন দেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা বলেন, বিসর্জনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেই সঙ্গে সব পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। সবার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এ বছর রংপুর জেলায় ৯৩৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে রয়েছে ১৫৮টি মণ্ডপ।