খুলনায় নাশকতার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নজরুলসহ খালাস বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মী
খুলনায় হওয়া নাশকতার একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম (মঞ্জু), মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদসহ বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মী।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। ছয় বছর আগে খুলনা সদর থানায় পুলিশ ওই মামলা করেছিল।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক নথি দেখে জানান, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের স্যার ইকবাল রোডের হোটেল জেলিকো থেকে মো. খলিলুর রহমান সরকার ও এম এ হাসনাত মিঠুকে আটক করে নিয়ে যায় খুলনা থানা-পুলিশ। তাঁরা ঢাকা থেকে এসেছিলেন। পরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান বাদী হয়ে ওই দুজনসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) গোপীনাথ সরকার আদালতে নজরুল ইসলামসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ওই মামলায় খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন মো. খলিলুর রহমান সরকার, এম এ হাসনাত (মিঠু), জি এম মঈনউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, মো. রিপন ফরাজী, মো. শাহ আলম, মো. আমিন শেখ, মো. শুকুর আলী, মো. মাসুদ শেখ, মো. জামাল হাওলাদার, মো. মিরাজ হাওলাদার, মো. আজিজুল করিম, মোহাম্মদ আলী, মো. আবুল হায়াত (শুভ হক), মো. মুজিবর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হেলাল শেখ, মো. কামরান হাচান, মো. মাসুদ খান (বাদল), মো. মতিয়ার রহমান (বুলেট), মো. সেলিম খান, মো. মেজবাহ উদ্দিন (মিজু), মো. ইসমাইল হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. আরিফ হোসেন মল্লিক, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. বাবুল হাওলাদার, শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর ও মো. ডালিম গাজী (সাদি)।
রায় ঘোষণাকালে আরিফ হোসেন মল্লিক ও শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর ছাড়া সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এস এম মনজুর আহমেদ, জিল্লুর রহমান খান, এস এম মুজিবর রহমান খান, মোল্লা গোলাম মওলাসহ আরও আইনজীবী।
রায়ের পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদের গায়েবি মামলা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মী ফ্যাসিবাদী সরকারের মামলা-নির্যাতন সহ্য করে রাজপথ ছাড়েননি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ মুক্তি পেয়েছে।