যশোরে বিএনপির কর্মসূচি থেকে ১০ নেতা–কর্মী আটক, পরে মুক্তি

১০ দফা দাবি আদায়ে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি। গতকাল দুপুরে শহরের নীল রতন ধর (ভোলা ট্যাংক) সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

যশোরে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে কর্মসূচি শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ শনিবার দুপুরে যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ১০ জনের মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মারুফুজ্জামান ছিলেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, কর্মসূচির বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবহিত করার পরেও পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করে হেনস্তা করেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাঁদের আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগেই পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে অন্য কোথাও তা পালনের জন্য বলে। তখন নেতা–কর্মীরা তাৎক্ষণিক স্থান বদল করে নীল রতন ধর সড়কে গিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। ওই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। তবে স্থান বদলের তথ্য না জেনে যেসব নেতা–কর্মী প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১০ জনকে আটক করে পুলিশ থানা হাজতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে বিকেলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির চলমান ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের জন্য সম্ভাব্য পাঁচটি স্থানের নাম উল্লেখ করে পুলিশকে আগ থেকেই চিঠি দেওয়া হয়। প্রথমে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে নীল রতন ধর সড়কে কর্মসূচি করা হয়। এ সময় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে। অবশ্য পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’

অনিন্দ্য ইসলাম আরও বলেন, পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যে প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে ধরপাকড় করছে। কর্মীদের সাহস ও তীব্র মনোবলের কারণে পুলিশের অগণতান্ত্রিক মনোবৃত্তি সফল হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বিএনপির ১০ নেতা–কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। পরে আবার তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।