ঠাকুরগাঁওয়ে নলকূপের পানি পান করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ

নলকূপের পানি পান করে অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে
ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে নলকূপের পানি পান করে একটি বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার শীতলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নলকূপের পানি পান করার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষক্রিয়া শুরু হয়। তবে বিষক্রিয়াটি কী ধরনের, তা নিশ্চিত হতে পানির নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শীতলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আজ টিফিনের সময় শিক্ষার্থীরা নলকূপের পানি পান করে। প্রথমে তিন থেকে চারজন শিক্ষার্থী মাথা ঘোরানো ও পেটে ব্যথার কথা জানায়। পরে আরও অনেকের একই লক্ষণ দেখা দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

নলকূপটি পরীক্ষা করে পানিতে বিষ মেশানো হয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), হরিপুর থানা

খবর পেয়ে বিদ্যালয়র পরিদর্শন করেছেন হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। ওসি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নলকূপটি পরীক্ষা করে পানিতে বিষ মেশানো হয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান বলেন, নলকূপের পানি পান করে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকেরা নলকূপের পানি চেপে যাচাই করেন। নলকূপ থেকে ঘোলা পানি বের হতে দেখা যায়। এর পরপরই বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বেলা দুইটার দিকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত। এর মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থী বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। তাদের মধ্যে দুজনের বিষক্রিয়ার মাত্রা বেশি। তারা দুজনই মেয়ে। বাকি শিক্ষার্থীরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে মনে হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বহ্নিশিখা আশা বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বসহ খতিয়ে দেখতে ওসিকে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।