দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত, টাকা ছিনতাই

মারধর
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার রাতেই একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভাগলপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে রাস্তার ঢালুতে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন স্থানীয় বাসিন্দা সুজন শেখ (২৫)। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দোকানে বসে কাজ করছিল সুজন। রাত সাড়ে সাতটার দিকে জরুরি কথা আছে বলে তাঁকে দোকান থেকে ডেকে নেন একই এলাকার মিরাজ মীর মালত (২৪)। দোকান থেকে বের হয়ে প্রায় ১০০ গজ দূরে একটি পুকুর পাড়ের দিকে যেতেই সুজন শেখ দেখতে পান, রাস্তার ওপর কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের কাছে পৌঁছামাত্র মিরাজ অতর্কিতভাবে সুজনের ওপর হামলা চালান। পাশে থাকা অন্যরাও লাঠি দিয়ে ও এলোপাতারি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় মিরাজ ধারালো চাইনিজ কুড়াল বের করে আকস্মিকভাবে সুজনের মাথায় কোপ দেন এবং অন্যরা লাঠি দিয়ে মারপিট করতে থাকেন। এতে সুজন রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর প্যান্টের পকেটে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরে সুজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। আজ বুধবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজন শেখ বলেন, ‘দোকানে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশের ভালো লেনদেন হয়। মিরাজসহ তাঁর সঙ্গীরা এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত। মূলত আমার টাকা নিতেই মিরাজ তাঁর দলবল নিয়ে মঙ্গলবার রাতে জরুরি কথা আছে বলে কৌশলে ডেকে নেন। আমাকে মারধর করে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।’

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজনীন নাহার বলেন, সুজনের মাথায় জখমের স্থানে সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে। আপাতত আশঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে বেশ কয়েক দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

এ ঘটনায় সুজনের আপন চাচা মো. ফজলুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই মিরাজ মীর মালতকে প্রধান আসামী এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর থেকে মিরাজ মীর মালত পলাতক রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একজন দারোগাকে বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।