ময়মনসিংহে ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে কাতরাচ্ছে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাত বছরের এক মেয়েশিশু। কাউকে দেখলে সে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির এমন অবস্থা দেখা গেল।
হাসপাতালে শিশুটির এক খালা বলেন, গত সোমবার দুপুরে কলা পেড়ে দেওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ১৩ বছরের এক কিশোর। পরে ধান খেতে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। বাড়ি ফিরলে শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিশোর ভয় দেখানোয় তাঁর ভাগনি প্রথমে ঘটনা সম্পর্কে বলেনি। পরে ঘটনাটি খুলে বলে মেয়েটি। রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় ভাগনিকে তাঁরা প্রথমে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে গতকাল মেয়েটির অস্ত্রোপচার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কিশোরের বয়স ১৩ বছর। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির মা গত সোমবার রাতে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ময়মনসিংহ আদালতে তোলা হলে তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুকোনুজ্জামান জানান, ওই কিশোরকে আজ বুধবার কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে শিশুটির স্বজনেরা বলেন, মা–বাবার বিচ্ছেদের পর দুজনই বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। শিশুটি তার নানির কাছে থাকে।
শিশুটি শঙ্কামুক্ত আছে বলে আজ দুপুরে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।