লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে গৃহবধূ নিহত

ছুরিকাঘাতপ্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক নারী নিহত হয়েছেন। এতে ছুরিকাহত হয়েছেন তাঁর স্বামী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন।

নিহত গৃহবধূর নাম জেসমিন আক্তার (৩৫)। ছুরিকাহত তাঁর স্বামী হলেন হারুনুর রশিদ। তিনি একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হানিফ মোল্লার ছেলে। পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। এ ঘটনায় গৃহবধূ জেসমিনের দেবর মো. হিরণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় লোকজন জানান, হারুনুর রশিদ তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও চার সন্তানকে নিয়ে রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পান হারুন। চোর বা ডাকাত ভেবে ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হওয়া মাত্রই দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। প্রাণভয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী জেসমিন ঘর থেকে বের হয়ে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও এলোপাতাড়ি কোপায় দুর্বৃত্তরা। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আহত হারুনুর রশিদ বলেন, সাত থেকে আটজন দুর্বৃত্ত ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় জেসমিন তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা চলে গেলে ঘরের পাশে ঘটনাস্থলেই তাঁর স্ত্রী মারা যান।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনুর রশিদের ছোট ভাই ও জেসমিনের দেবর হিরণকে আটক করা হয়েছে।