পাবনায় ট্রাক-অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে নিহত ২

তিনটি পরিবহনের সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। বুধবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়ক এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টরের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্য দুজন। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের সরকারি এস এম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন—নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের জেহের মোল্লার ছেলে আসান মোল্লা (৬৫) ও একই উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে জিন্নাত আলী (৫৪)। আহত দুজন হলেন—সিএনজিচালিত অটোরিকশারচালক ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মাহাবুল হোসেন (৩২) এবং ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া গ্রামের আলা মণ্ডলের ছেলে আবদুল মালেক (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর লাকড়ি নিয়ে ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক আসছিল। সরকারি এস এম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ট্রাক ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষের মুহূর্তে হঠাৎ তার ভেতরে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাচালক ও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান। অন্য দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকিব হোসেন বলেছেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেছেন, খবর পেয়ে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।